কারণে কিংবা অকারণে কম-বেশি আমরা সবাই রাগ করি। অনেক সময় রাগের বসে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতেও দ্বিধা করিনা। এতে আমাদের ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি। কারণ রাগের বশবর্তী হয়ে আমরা কখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা। বাবা, মা কিংবা নিজের প্রিয়জনকে রাগের বশে যখন যা খুশি বলে তাই বলতে পারেন। পরে আবার নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমাও চেয়ে নিতে পারেন। তারা হয়ত আপনার রাগ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতেই দেখবেন। কিন্তু অন্যরা আপনার এই রাগটা সহজে নাও মানতে পারেন। এতে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পাশাপাশি জীবনে আরও নানা বিপর্যয় আসতে পারে। কাজেই জীবনে চলার পথে রাগ যখন প্রধান বাধা তখন এ সমস্যা থেকে আগে নিজেকে বের করাই বেশি ভালো। এক্ষেত্রে জেনে নিন রাগ নিয়ন্ত্রণে যা করবেন- ভেবে চিন্তে বলুন যে কথা একবার মুখ থেকে বের হয়ে যায় তা কখনই ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। তাই যখনই যার সঙ্গে কথা বলুন না কেন ভেবেচিন্তে বলুন। কোন কথা বলার আগে ভাবুন আপনার কথায় কেউ কষ্ট পাবে কিনা। তারপর ধীরে সুস্থে বলুন। দেখবেন আপনার অনেক সুবিধা হবে। সহ্যশক্তি বাড়ান নাচ, গান, আবৃত্তি, ছবি আঁকা প্রভৃতি আরও নানা ক্রিয়েটিভ কিছুর সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখুন। দেখবেন আপনার সহ্যশক্তি এমনিতেই বেড়ে যাবে। তখন রাগও কমে আসবে। চুপচাপ থাকুন খুব বেশি রাগ হলে না চেঁচিয়ে চুপচাপ বসে থাকুন এবং ভালো চিন্তা করুন। দেখবেন নিমিষেই রাগ উধাও হয়ে যাবে। ব্যায়াম করুন রাগ কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করার বিকল্প নেই। এজন্য জগিং, সুইমিং, বাস্কেটবল, ভলিবল, বক্সিং এসব করতে পারেন। চাইলে যোগব্যায়াম কিংবা মেডিটেশনও করতে পারেন। এগুলো রাগ কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। ডায়েরি লিখুন রাগের সময় মনে যা আসে তৎক্ষণাত তা ডায়েরিতে লিখে ফেলুন। দেখবেন তখন নিজেকে অনেক হালকা লাগবে। তবে চাইলে এ সময় ব্লগিং-ও শুরু করতে পারেন। শেয়ার করুন মনের কষ্ট কখনোই চেপে রাখবেন না। অনেক সময় এটা থেকেও রাগ আসতে পারে। তাই কোনও সমস্যা হলেই বন্ধু, সঙ্গী কিংবা মায়ের সঙ্গে নিজের মনের কথা শেয়ার করুন। দেখবেন রাগ উধাও হয়ে যাবে। অন্যকে পাত্তা দিবেন না কেউ আপনাকে রাগানোর চেষ্টা করলে বা রাস্তায় কোনও টোন করলে সেটাকে একেবারেই পাত্তা দেবেন না। বরং ইগনোর করে চলে যান। তাতে যে রাগাচ্ছে সে বোকা বনে যাবে। আর তার রি-অ্যাকশন ভেবে দেখলে আপনারও হাসি পাবে। রাতে ঘুমান রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলেও রাগ বেড়ে যেতে পারে। কাজেই ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন-ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোন বা ইমেইল বেশি ঘাটাঘাটি না করাই ভালো। সবার সঙ্গে মিশুন আপনার পরিচিতের গঙ্গিটা বাড়িয়ে তুলুন। সবার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি করে মিশুন। দেখবেন মন ভালো থাকবে। নিজেকে সময় দিন আপনার নিজের জন্য কিছুটা সময় দরকার। তাই রাগ হলে চুপিচুপি কোথাও বেরিয়ে পড়ুন। নিজের পছন্দের কফিশপে গিয়ে কফিতে চুমুক দিন। চাইলে নিজের পছন্দের কোন বই, গান কিংবা মুভিও দেখতে পারেন। বেড়াতে যান অনেকদিন কাজের মধ্যে থাকতে থাকতেও রাগ আসে। তাই ছোট একটা ট্যুর প্ল্যান করে ফেলুন। অনেক সময় হাওয়া বদল করলেও মন ভালো হয়ে যায়। তখন রাগ আর ধারে কাছেও আসে না। চিকিৎসা নিন এত কিছুর পরেও যদি দেখেন শেষমেশ কোনও লাভ হচ্ছে না তাহলে প্রফেসনাল কেয়ার নিন। ইন্সোমেনিয়া কিংবা ডিপ্রেশন থেকেও রাগ হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিত্সকের সাহায্য নেওয়া ভালো। এতে রাগ থেকে সহজেই মুক্তি মিলবে। |
Be SPONSORED Now ।| Be SPONSORED By | |
---|---|
৩১ জুলাই, ২০১৬ নামাজের সময়সূচি | |
ফজর | ভোর ৩:৪৪ মিনিট |
জোহর | বেলা ১১:৫৯ মিনিট |
আসর | বিকেল ৪:৩৬ মিনিট |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:৪৭ মিনিট |
ইশা | রাত ৮:১০ মিনিট |
আগামীকালের সূর্যোদয় ভোর ৫:১১ মিনিট | আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬:৪৭ মিনিট |
No comments:
Post a Comment