সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ঢাকার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ওআইসি। ঢাকার গুলশানে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে আজ সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে টেলিফোন করেছেন ওআইসি মহাসচিব ইয়াদ আমিন মাদানি।
ফোনালাপে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে বাংলাদেশকে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থাটির সহযোগিতার আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গুলশানের ওই ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারকে সমবেদনা জানাতে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন ওআইসিপ্রধান। আসন্ন ঈদের কারণে আসতে না পারায় শিগগির সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করতে চান তিনি।
বিবৃতিতে ওআইসি মহাসচিব কঠোর ভাষায় গুলশানে নিরস্ত্র ও নিরপরাধ মানুষ হত্যার নিন্দা জানিয়ে এই সঙ্কটময় ও বেদনাদায়ক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রতি সংস্থাটির সমবেদনা ও দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
গত শুক্রবার রাতে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী জঙ্গি; দেশি বিদেশি অন্তত ৩৩ জন সেখানে জিম্মি হন। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২০ জনের লাশ পাওয়া যায় জবাই করা অবস্থায়।
নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব ছিল। অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত ও সন্দেহভাজন একজনকে জীবিত আটকের খবর জানানো হয়। পৃথক এক বিবৃতিতে গুলশানের ঘটনায় ওআইসির গভীরভাবে শোকাহত হওয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
No comments:
Post a Comment