গুলশানের রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, এ ধরনের বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডে আমরা ভীত নই। আমাদের সরকার সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
সোমবার ভুটানের পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ভাষণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে আবদুল হামিদ বলেন, জলবিদ্যুৎ এবং আঞ্চলিক যোগাযোগ ভ্রাতৃপ্রতিম দু’দেশের জনগণের মধ্যে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। আমাদের অবশ্যই দু’দেশের জনগণের কল্যাণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করতে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে।
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতা প্রদানে সুনির্দিষ্ট সাফল্য আনতে আরো পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত যে, প্রতিবেশী তিনটি দেশের সমন্বয়ে ত্রি-জাতীয় এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প গ্রহণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
আঞ্চলিক যোগাযোগ সম্পর্কে আবদুল হামিদ বলেন, এটা খুবই শুভ সংবাদ যে, ২০১৬ সালের ২১ জুন ভুটানের জাতীয় পরিষদে বিবিআইএন মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট সম্পর্কিত বিল পাস হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি আশা করি, এর ফলে এই উপ-অঞ্চলে দীর্ঘ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের সম্পর্ক বিশেষ করে জলবিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, আঞ্চলিক যোগাযোগ, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পর্যটন ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী।
বাংলাদেশ-ভুটান পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশীপ গ্রুপ গঠনের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, এই গ্রুপ দু’দেশের পার্লামেন্টারি সহযোগিতার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখবে।
আবদুল হামিদ বলেন, আমি নিশ্চিত, দু’দেশের পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে অভিজ্ঞতার বিনিময় ও অনুশীলন বাংলাদেশ-ভুটানের সম্পর্ককে আরো সুসংহত করবে।
No comments:
Post a Comment