কক্সবাজারের রামু উপজেলায় ক্রমশই সংকুচিত হয়ে আসছে দেশের সর্ববৃহৎ রামু রাবার বাগান। বন্যহাতির উপদ্রব, ক্রমাগত কাঠচুরির পাশাপাশি প্রভাবশালী ও ভূমিদস্যুদের খপ্পরে পড়ে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাতে বসেছে এ বাগান।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৬০-৬১ সালে অনাবাদী জমি জরিপ করে গবেষণার মধ্যদিয়ে রামুতে রাবার চাষ শুরু হয়। উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন জোয়ারিয়ানালা, কাউয়ারখোপ ও গর্জনিয়াসহ তিন ইউনিয়নে বন বিভাগের ৬০০ একর জমি ইজারায় রাবার বাগানটি গড়ে তোলা হয়। পরে এর পরিসর বেড়ে ২৬৮২.৬৮ একরে দাঁড়ায়। এরমধ্যে বিগত ৫৪ বছরে দখল হয়ে গেছে ৩০০ একরেরও অধিক জমি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের মিস্ত্রীর ঘোনা এলাকায় বাগানের ১২নং ব্লকে প্রায় ৫ একরের মত জমি দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। আর এ জমি দখলে নিতে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে রামু রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে মোকতার আহাম্মদ, শাহ আলম ও নুরুল ইসলামসহ আরো ১০/১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট রাবার বাগানের ম্যানেজারকে ম্যানেজ করে পাহাড় কেটে রাতারাতি বাড়ি ঘর নির্মাণ করে। প্রায় ৫ একরের মত জমির মধ্যে প্রতিকানিতে আড়াই লাখ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় পরিবেশ সচেতন ব্যক্তিদের।
রামু রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি ছুটিতে থাকার কথা জানিয়ে বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে রাবার বাগানের জায়গা জবর দখলের মত কোন ঘটনাই ঘটেনি। যদি ঘটে থাকে, এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেগম সেলিনা কাজী জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment