Monday, July 18, 2016

পেট ভরে ভাত না খেলে তো আমাদের চলেই না, কিন্তু এখন ভাতেও সাবধান! দুই নম্বর দেশ চায়না, শেষ পর্যন্ত দুই নম্বর ভাতও তৈরী করলো ?!

বাজারে গিয়ে কিনে আনলেন মিনিকিট বা ভালো বাঁশকাঠি চাল। হাঁড়িতে সে ভাত ফুটলও। দিব্যি খেয়ে ফেললেন। কিন্তু জানলেনও না, আপনি যে চালের ভাত খেলেন, সেটা কৃত্রিম চাল, আসলে প্লাস্টিক ছাড়া কিছু নয়।



তা অবিশ্বাস আপনি করতেই পারেন, কিন্তু, চীন এভাবেই নকল প্লাস্টিকের চালে এশিয়ার বাজার ধরে নিচ্ছে। এমনকী যারা চালের কারবারি, দিনরাত চাল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাঁরাও ধরতে পারেননি চীনের এই চালাকি। আর পাঁচটা চাইনিজ জিনিস যেমন সস্তায় মেলে, তেমন সস্তায় চাল কিনে, ব্যাপক মুনাফা করতে সেই নকল চালই বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।


নকলে চীন বরাবরই ওস্তাদ। এমনকী ভেজাল খাবারেও। এর আগে নকল ডিম বানিয়েও দেদার কামিয়েছে চীন। বাইরে থেকে দেখে, এমনকী ডিম ফটিয়েও কারও ধরার ক্ষমতা হয়নি, সে ডিমও নকল। না হাঁসের, না মুরগির। সেই ভেজালের তালিকায় এবার নবতম সংযোজন প্লাস্টিকের চাল।  ভারতের বাজারে দেদার বিকোচ্ছে এই সস্তার চাল। সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামেও যাচ্ছে।


সস্তায় দিচ্ছে বলে, নকল চালেও চালের বাজার গ্রাস করে নিচ্ছে চীন। রান্নার আগে আপনি বুঝতেও পারবেন না, সেটা প্লাস্টিকের কিনা। পাশপাশি রেখে আসল-নকল বোঝার উপায় নেই। রান্না করে বুঝবেন, ভাতটা মনমতো হল না। সেই স্বাদও পাবেন না।


সম্প্রতি কেরালায় এমন নকল চাল প্রথমে নজরে আসে। তখনই খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চীন থেকে এইনকল চালের দেদার আমদানি হচ্ছে। প্লাস্টিকের সঙ্গে আলু ও রাঙাআলু মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে এই নকল চাল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে জানিয়েছেন, এই প্লাস্টেকের চাল কিন্তু শরীরের পক্ষে মোটেও সুখের নয়। নিয়মিত খেলে প্রাণসংশয়ও হতে পারে।



No comments:

Post a Comment