হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি বলতেই অনেকের চোখের তারা নেচে ওঠে। পুরান ঢাকার হাজি বিরিয়ানি কিংবা ফখরুদ্দিনের বিরিয়ানির সুনাম এপার বাংলা ছাড়িয়ে গেছে সেই কবে। কাচ্চি বিরিয়ানির সঙ্গে যদি বোরহানি থাকে আর কি চাই। এর বাইরে লাখনও, কলকাতা, সিন্ধি, মুঘলাই, মাটন বিরিয়ানির পাশাপাশি ভোজনরসিকদের জন্যে নতুন পদটির নাম ‘ব্যাচেলর বিরিয়ানি’। সব মিলে ১২ পদের বিরিয়ানি নিয়ে জমে উঠেছে হোটেল পেনিনসুলার ব্যতিক্রমী উৎসবটি। সঙ্গে আছে কয়েকশ পদের সালাদ, ডেজার্ট, আইসক্রিম আর মুখরোচক খাবার। আছে লাইভ স্টেশনে ভালোবাসার ফ্রেমে মোড়ানো ডিম ফ্রাইও। সুনীল বড়ুয়া সবান্ধবে এসেছিলেন বিরিয়ানি উৎসবে। একবারে চার পদের করে মোট তিনবার বিরিয়ানি নেন তিনি। বেশ আয়েশ করে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, জলপাই আচার দিয়ে বিরিয়ানি খাচ্ছিলেন তিনি। সব শেষে মাটির গ্লাসে করে পরিবেশন করা হয় বোরহানি। স্বাদ কেমন হলো জানতে চাইলে বললেন, চট্টগ্রামে আখনি বিরিয়ানি নামে একটি সুস্বাদু বিরিয়ানি বেশ প্রচলিত। চিকেন বিরিয়ানি, কাচ্চি বিরিয়ানিও বেশ ভালো লাগে। ইদানীং নতুন নতুন রেস্টুরেন্টগুলোতে হায়দ্রাবাদিসহ রকমারি বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে। যদিও ইচ্ছেমতো তেল, ঘি, মসলাসহ রকমারি উপকরণ দেওয়া হয়। ঢাকায় গেলে ফখরুদ্দিনের বিরিয়ানির স্বাদ নিয়ে থাকি। সবমিলে বলতে পারেন, বিরিয়ানি আমাকে বেশ আকর্ষণ করে। পেনিনসুলার এ উৎসবটি বলতে গেলে আমার মতো মানুষের জন্যেই। এককথায় আসল স্বাদই পেলাম। আমি আবার আসবো। শুক্রবার রাত আটটায় পেনিনসুলার লেগুনা রেস্টুরেন্টে ফিতা কেটে বিরিয়ানি উৎসবের উদ্বোধন করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, দি পেনিনসুলা চিটাগাং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহবুব রাহমান, মহাব্যবস্থাপক মুস্তাক লুহার প্রমুখ। সোমনাথ হালদার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের এ উপমহাদেশে বিরিয়ানি বেশ জনপ্রিয় খাবার। এখানে ভারতের ঐতিহ্যবাহী বেশ কিছু পদের বিরিয়ানি দেখতে পাচ্ছি। রয়েছে বাংলাদেশের হাজি বিরিয়ানি, ফখরুদ্দিনের বিরিয়ানিও। এর ফলে দুদেশের বিরিয়ানির স্বাদের সঙ্গে অতিথিরা পরিচিত হতে পারছেন। এর মাধ্যমে অকৃত্রিম বন্ধুপ্রতিম দুদেশের সংস্কৃতিরও আদান-প্রদান হচ্ছে। একাত্মতা অনুভব করছি। এটাই বড় পাওনা। তিনি বলেন, এর আগেও পেনিনসুলায় ভারতীয় খাদ্য উৎসব হয়েছে। বিভিন্ন দেশের খাদ্য উৎসব হয়েছে। কিন্তু বিরিয়ানি উৎসবটি ব্যতিক্রম। এতে দুদেশের বিরিয়ানিই স্থান পেয়েছে। মাহবুব রাহমান বলেন, বছরজুড়েই দেশি-বিদেশি খাদ্য উৎসব করে থাকি। এবার ১২ পদের বিরিয়ানি নিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন করলাম। একেক পদের বিরিয়ানিতে একেক ধরনের স্বাদ। আমরা ভারতীয় শেফ এবং দেশি শেফ দিয়ে স্পেশালি বিরিয়ানিগুলো তৈরি করছি। সবচেয়ে বড় কথা, যারাই স্বাদ নিয়েছেন ব্যাপক প্রশংসা করছেন। এটি আমাদের বড় পাওনা। পেনিনসুলার সহকারী ব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মিস ফেইথ ক্যারোলিন পেরেরা জানান, ‘আমরা যেমনটা জানি যে, বিরিয়ানি প্রথম পরিবেশন করা হয় মুঘল আমলে। আর সেই সময়টাকে স্মরণ করেই আমাদের বিরিয়ানি ফ্যাস্টিভেলের এ আয়োজনটা করা হয়। মুঘল আমলের কথা মাথায় রেখেই হোটেলের লাগুনা রেস্টুরেন্টটি সাজানো হয়েছে মুঘল সাজে।’ তিনি জানান, বিরিয়ানি উৎসব চলাকালে অগ্রীম বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত উৎসব চলবে। |
Be SPONSORED Now ।| Be SPONSORED By | |
---|---|
০৬ আগস্ট, ২০১৬ নামাজের সময়সূচি | |
ফজর | ভোর ৩:৪৪ মিনিট |
জোহর | বেলা ১১:৫৯ মিনিট |
আসর | বিকেল ৪:৩৬ মিনিট |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:৪৭ মিনিট |
ইশা | রাত ৮:১০ মিনিট |
আগামীকালের সূর্যোদয় ভোর ৫:১১ মিনিট | আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬:৪৭ মিনিট |
No comments:
Post a Comment