চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থিম্পুর উদ্দেশ্যে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা ত্যাগ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে তার এ সফর।
রাষ্ট্রপতির এ সফর দ্বি-পাক্ষিক যোগাযোগ জোরদারের পাশাপাশি উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে গতির সঞ্চার করবে।
রাষ্ট্রপতি, তার স্ত্রী রাশিদা খানম ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী দ্রুত এয়ারের একটি ফ্লাইট বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, কূটনীতিক কোরের ডীন মাহমুদ এজাত, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব এবং জ্যেষ্ঠ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।
সফরকালে রাষ্ট্রপতি ২ জুলাই বৌদ্ধ মঠ ও দুর্গ তাশিছোদজংয়ে ভূটানের রাজার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। পরে রাষ্ট্রপতি রাজার বাসভবন লিংকানা প্রাসাদে রাজার দেয়া এক নৈশভোজে যোগ দেবেন।
আবদুল হামিদ ভুটানের বর্তমান রাজার বাবা সাবেক রাজা জিগমে সিনগে ওয়াংচুকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
ভূটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোগবে ২ জুলাই তাজ তাশি হোটেলে রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সফরকালে রাষ্ট্রপতি এ হোটেলে অবস্থান করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৩ জুলাই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সম্মানে রয়্যাল ব্যানকুয়েট হল লংজুপাখায় নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
ভুটানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার লিওনপো জিগমে ঝাংপো, জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান সোনম কিনগা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী লিওনপো দামচো দরজিও পৃথকভাবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
রাষ্ট্রপতি ৪ জুলাই ভুটানের পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
আবদুল হামিদ কুয়েনসেলফোদ্রাং ও ডোচুলার মতো ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করবেন।
আগামী ৪ জুলাই রাষ্ট্রপতির দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment