রাজধানীবাসীকে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী (প্রতি ডলার সমান ৭৮ টাকা) এর পরিমাণ ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। সংস্থাটির জন্য এ সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে।
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচি।
এছাড়া প্রকল্প চুক্তিতে সই করেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন এ খান ও কাজুহিকো হিগুচি।
ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মেঘনা নদী থেকে পানি এনে তা বিশুদ্ধ করে রাজধানীতে সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় ৪১ কোটি ডলার। এর মধ্যে সহজ শর্তে ঋণ হিসেবে ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেবে এডিবি। এ ঋণ ৫ বছরের রেয়াতি মেয়াদসহ ২০ বছরে পরিশোধযোগ্য এবং ঋণের সুদের হার লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফারেট রেট ভিত্তিক।
অনুষ্ঠানে এডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে ঢাকা শহরে দৈনিক পানির চাহিদা ২ ১৪ কোটি লিটার। সেটি বেড়ে ২০২২ সাল নাগাদ দাঁড়াবে দৈনিক ২৬১ কোটি লিটারে। তাই পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগে সহযোগিতা দিচ্ছে সংস্থাটি।
ইআরডি সিনিয়র সচিব বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা নগরীতে পানিবাহিত রোগ বালাই কমে আসবে। ঢাকা ওয়াসার ৭টি জোনে পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ এবং ৮২টি নতুন ডিস্ট্রিক্ট মিটারিং এরিয়া প্রতিষ্ঠা করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়।
তিনি বলেন, সার্বক্ষণিক বিশেষ ব্যবস্থায় (প্রেসারাইজড সিস্টেমে) নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ওয়াটার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসার সেবা প্রদানে ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। পানি অপচয়ও ১০ শতাংশ কমে আসার আশা করা হচ্ছে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, নগরী হিসেবে ঢাকা দ্রুত বাড়ছে এবং নিরাপদ পানির চাহিদাও ব্যাপকহারে বাড়ছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ৭০ লাখ মানুষ নিয়মিত নিরাপদ পানি পাবে।
প্রসঙ্গত: ১৯৭৩ সালে এর সদস্যপদ লাভ করার পর থেকে এ সংস্থা তাদের আর্থিক সহায়তার একটি বড় অংশ বাংলাদেশকে প্রদান করে আসছে। এ যাবৎ বাংলাদেশকে ১৬ বিলিয়ন ডলারের অধিক ঋণ সহায়তা দিয়েছে। এডিবি প্রধানত, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানি সম্পদ এবং সুশাসন খাতকে প্রাধান্য দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment