ইদ-উল-ফিতরের পুর্বে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কোলাকুলি সঙ্ঘের জরুরী বৈঠকে কিছু পরামর্শ ও সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে দেশবাসীকে। বাংলাদেশ কোলাকুলি সঙ্ঘ জানিয়েছে, ইদ-উল-ফিতরের পুর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে তাদের এক লাখ সদস্যবিশিষ্ট সঙ্ঘের পরামর্শ বৈঠক। বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা প্রত্যেকেই কোলাকুলি সঙ্ঘের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ। সেজন্য সবাই টুকটাক পরামর্শ প্রদান করেছেন। অনেকে পরামর্শ দিতে গিয়ে লম্বা বক্তৃতা দিয়ে ফেলেছেন। যে কারণে অনেকেরই পরামর্শ গৃহীত হয়নি। গৃহীত সিদ্ধান্তবলির মধ্যে উল্লেখযেগ্য হচ্ছে-
- যেদিন ঈদ পালন করা হবে, সেদিন এক যোগে সবার পরনে নতুন পোশাক থাকবে। এসব পোশাকের ভাঁজ ওই দিনই প্রথমবারের মতো ভাঙা হবে। নতুন পোশাক পরে এ দিন মহাসমারোহে কোলাকুলি করা হবে।
- তবে সুখবর হচ্ছে কোলাকুলির ওপর কোনো প্রকার কর ধার্য করা হয়নি। ফলে যত খুশি ততই কোলাকুলি করতে পারবেন ঈদ পালনকারী। তবে এ বিষয়ে আরো পরামর্শ হচ্ছে মোটা ব্যক্তিরা চিকন ব্যক্তিদের সাথে কোলাকুলির ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
- ঈদ সালামির ব্যাপারে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বৈঠকে। এতে আইন করা হয়েছে একজনের কাছ থেকে একই ব্যক্তি একাধিকবার সালামি আদায় করতে পারবে না। যদি আদায় করা হয় তাহলে ভুক্তভোগী ভিক্টিম যেন কোলাকুলি সঙ্ঘ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এ লেখা যে, টাইপ করা কাগজে হতে হবে এমন কোনো ধরাবাধা নেই।
- তবে সালামি দাতারা যদি ভাংতি না থাকার অজুহাত দেখিয়ে সালামি দেয়ার বেলায় কোনো রকম টালবাহানা করে, সে ক্ষেত্রে তাদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে সঙ্ঘ। এর অংশ হিসেবে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদ ক্রোকসহ নাগরিকত্ব বাতিল করার বিধান রাখা হয়েছে।
- এই সিদ্ধান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সালামি প্রাপকেরা যেন মিষ্টি বিতরণের কথা বিলকুল ভুলে না যায়, সে বিষয়ে এলাকার বড় ভাইদের খেয়াল রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
- ঈদ উপলক্ষে রঙঢঙের ওপর হালকা-পাতলা বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে ও সামাজিক প্রেমের ওপর কোনো রকমের লাগামের ব্যবস্থা করা হয়নি।
No comments:
Post a Comment