উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিবন্ধক জঙ্গিরা দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে নাশকতা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংসদীয় কমিটি। একই শঙ্কা বিরাজ করছে গ্যাস ক্ষেত্রগুলো নিয়েও। গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর রাজধানীর কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি আস্তানার খোঁজ মেলায় এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতীয় সংসদ ভবনে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বৈঠকে এমন আশঙ্কা প্রকাশ হয়। কমিটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও গ্যাস ক্ষেত্রগুলোতে নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী’ গঠন ও সিসিটিভির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণের সুপারিশ করেছে।
কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আতিউর রহমান আতিক, মো. আবু জাহির, এম. আবদুল লতিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন (নাছিম) এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার অংশ নেন। জ্বালানী বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী, বিপিসি এর চেয়ারম্যান মাহমুদ রেজা খান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে পায়রা বন্দরকে অধিক কার্যকর করার লক্ষ্যে ১৮ কিলোমিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিং করার সুপারিশ করা হয়। কমিটি দেশে উত্পাদিত এলপিজি গ্যাস ও আমদানীকৃত এলপিজি গ্যাসের মূল্য এক এবং সঠিক মাপ ও মান নিশ্চিত করার সুপারিশ করে। এছাড়া বেসরকারি গ্যাস কোম্পানীগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ করে।
বৈঠকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা অব্যাহত রাখা এবং যেখানে যে কোম্পানির গ্যাস সংযোগ আছে সেখানে অবৈধ গ্যাস সংযোগের জন্য সে কোম্পানিকে দায়ী করে শাস্তি প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
No comments:
Post a Comment