Wednesday, July 13, 2016

জঙ্গিবাদ রুখতে কলেজগুলোর জন্য যেসব নির্দেশনা

রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া জঙ্গি হামলায় দেশের নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার পর জঙ্গিবাদ রুখতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা যেনো বিভ্রান্ত ও বিপথগামী হয়ে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়ে সে জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত হাজিরা গ্রহণসহ প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের নজরদারি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।


উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরুণ শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ যেভাবে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে, নিরাপরাধ মানুষের প্রাণহানি ঘটাচ্ছে, দেশের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করছে, নিজেদের পরিবারের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনছে এবং সর্বোপরি, নিজেদের জীবন বিপন্ন করছে, তাতে সমগ্র দেশবাসীর সাথে আমরাও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।


“আমাদের দেশের মানুষ শান্তি, সম্প্রীতি ও সহনশীলতার পক্ষে। হত্যা, খুন, সন্ত্রাস দ্বারা বাংলাদেশের সমাজ-রাষ্ট্রের মূলভিত্তিকে ধ্বংস করা কারো পক্ষে যে সম্ভব নয়, আমাদের ইতিহাস বার বার তা প্রমাণ দিয়েছে।”


নৈরাজ্য, নৈরাশ্য, অন্ধত্ব ও বিপথগামীতার পথ থেকে সুস্থ চিন্তা ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য তাদের প্রতি আহবান ড. হারুন-অর-রশিদ।


উপাচার্যের নির্দেশনাসমূহ:


১. ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়মিত হাজিরা গ্রহণ।


২. যেসব কলেজে আবাসিক হোস্টেল রয়েছে, সে সব হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের দৈনিক হাজিরা নিশ্চিত করা।


৩. প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের নজরদারি বৃদ্ধি করা।


৪. গরহাজির শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তাদের অভিভাবকদের কাছে পাঠানো।


৫. সহপাঠ কার্যক্রম (ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড) নিয়মিত অনুষ্ঠিত করা।


৬. এসব ব্যবস্থা নিশ্চিত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহকে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অবহিত করা।


৭. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহ এসব পদক্ষেপের বাস্তবায়ন মনিটরিং করা।


অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি এ বিষয়টির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টিম কাজ করবে।


এর আগে অসুস্থতা ছাড়া পরপর তিন কার্যকদিবস অনুপস্থিত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেই তথ্য সংরক্ষণের তাগিদ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।


আর শিক্ষামন্ত্রী টানা ১০ দিনের বেশি অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়ে বলেছেন, দেশের সব স্কুল, কলেজ, পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এ তালিকা দিতে হবে।


পরে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়ে, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা করে শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।

No comments:

Post a Comment