Sunday, July 17, 2016

তুরস্কের একে পার্টি ফের আলোচনায়

তুরস্কের সেনা অভ্যুত্থান ঠেকাতে সবচেয়ে বড় যে শক্তি মাঠে নেমেছিল বলে মনে করা হচ্ছে সেটি হচ্ছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা একেপি।

দলটির নেতারা সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। অনেকেই মনে করেন ‘রক্ষণশীল গণতন্ত্রের’ কথা বললেও একেপি আসলে ইসলামঘেঁষা।

উইকিপিডিয়ার তথ্যে দেখা যায়, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত দলটি গত পাঁচটি নির্বাচনেই জয়লাভ করেছে। বর্তমানে সংসদে ৩১৬টি আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রেখেছে একেপি।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে একেপি নিজেকে পাশ্চাত্যপন্থী ও আমেরিকানপন্থী হিসেবে প্রচার করতে থাকে। উদারবাজার অর্থনীতিরও সমর্থক দলটি। তবে দলটিকে মোটাদাগে ইসলামপন্থী হিসেবেই বিবেচনা করেন অনেকে।

তুরস্কের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার গ্যারান্টি থাকলেও ক্ষমতাসীন একেপি সেই আদর্শের প্রতি কতটা অঙ্গীকারবদ্ধ তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

মিসরের ইসলামী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে একেপির সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন দাবি করে নিষিদ্ধ করেছে মিসর ও সৌদি সরকার। একে পার্টি তলে তলে ইসলামী দলের ভূমিকাই পালন করছে বলে অনেকের অভিযোগ।


সারা বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামী দলগুলোকে তুর্কি সরকার সহায়তা দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ। দলটি বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর মতো বিতর্কিত দলের পক্ষে প্রকাশ্যেই অবস্থান নিয়েছে। মিসরে মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষেও তাদের সমর্থনের কথা কারও অজানা নয়। একে পার্টি প্যান-ইসলামী ও নব্য উসমানীয় শাসনের পক্ষে বলে সমালোচনা আছে।

সারা বিশ্বের আলোচিত-সমালোচিত ইসলামী দলগুলো আগে মিসরভিত্তিক মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থন পেত। এখন ব্রাদারহুড অস্তিত্ব সংকটে। ব্রাদারহুডের আসনে এখন একেপি বসেছে বলেই অনেকে মনে করেন।

No comments:

Post a Comment