২০১০ সালের ১ এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ। সেই থেকে এ পর্যন্ত বিদেশে বাংলাদেশের ৬৫ মিশন ২৫ লাখের বেশি এমআরপি ইস্যু করছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের হিসেবে এর বিপরীতে ফি বাবত প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। আবেদনকারীদের কাছ থেকে ফি বাবত টাকা নেওয়া হলেও এসব টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার কোনো হিসাব নেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কাছে। আমাদের সময়ের অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুসারে পাসপোর্ট ও ভিসার ফিস বাবদ কত রাজস্ব আদায় হয়েছে, তা নিয়মিত জানাতে হয়। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একাধিকবার চিঠি দিয়ে অবহিত করা হলেও তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। ফলে এ খাত থেকে কী পরিমাণ আয় হয়েছে, তার সঠিক হিসাব সরকারকে জানাতে পারছে না পাসপোর্ট অধিদপ্তর। সম্প্রতি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মিশনওয়ারী বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহ্বানের প্রস্তাব করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক অর্থ বিভাগে হওয়ার কথা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বেশিরভাগ বিদেশস্থ মিশনে এমআরপির সাধারণ ফি ১০০ মার্কিন ডলার এবং জরুরি ফি ২০০ ডলার। তবে বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, জিসিসিভুক্ত দেশসমূহ (কুয়েত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান), জর্ডান, মরিশাস, লিবিয়া, সাইপ্রাস, ইরান, ইরাক, লেবানন, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় কর্মরত সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে সাধারণ ফি ৩০ ডলার ও জরুরি ফি ১০০ ডলার করে আদায় করা হয়েছে। এতে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। কিন্তু এর কোনো হিসাব মিশনগুলো থেকে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, এ পর্যন্ত চার লাখের বেশি এমআরভি প্রদান করা হয়েছে। এ বাবদ ভিসা হতে কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে, তারও কোনো তথ্য নেই পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কাছে। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের একটি টিম বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুরের মালয়েশিয়া অধিদপ্তর পরিদর্শনকালে লক্ষ্য করে, এমআরপি ও এমআরভি ফি বাবদ আদায়কৃত রাজস্ব পৃথক ব্যাংক হিসাবে না রেখে অন্যান্য খাত হতে আদায়কৃত রাজস্বের সঙ্গে একই ব্যাংক হিসাবে জমা করা হচ্ছে। ফলে পাসপোর্ট ও ভিসা ফি বাবদ কত রাজস্ব আদায় হয়েছে তার কোনো তথ্য ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ মিশনগুলোতে জন্মনিবন্ধন সনদের মাধ্যমে আদায়কৃত রাজস্ব একটি পৃথক হিসাবে জমা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একইভাবে পাসপোর্ট ও ভিসা ফিসংক্রান্ত আদায়কৃত রাজস্বও পৃথক একটি ব্যাংক হিসাবে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। যোগাযোগ করা হলে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক এ বিষয়ে আমাদের সময়কে বলেন, এমআরপি ও এমআরভি ফির টাকা নিয়মিত সরকারের কোষাগারে জমা হচ্ছে। এটি একটি রুটিনওয়ার্ক, এর কোনো হেরফের হচ্ছে না। জন্মনিবন্ধন ফির টাকা আলাদা কোডের মাধ্যমে সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। পাসপোর্ট ও ভিসা ফির ক্ষেত্রে একই নিয়ম অনুসরণ করা হয় কিনা দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে ফির টাকার বিষয়টি হিসাব শাখা নিয়মিত হালনাগাদ করে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে গত ৬ বছরে ২৫ লাখেরও বেশি পাসপোর্ট ইস্যু করেছে বিদেশে বাংলাদেশের ৬৫ মিশন। এর মধ্যে সৌদি আরবের রিয়াদের মিশন থেকে ৪ লাখ ১০ হাজার ও কনস্যুলার জেনারেল জেদ্দা থেকে প্রায় আড়াই লাখ, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২ লাখ ৯০ হাজার, কনস্যুলার জেনারেল দুবাই থেকে ৪ লাখ ২৫ হাজার, কুয়েত থেকে ১ লাখ ৫৩ হাজার, কুয়ালালামপুর মালয়েশিয়া থেকে ২ লাখ ১২ হাজার এবং মাসকার্টের ওমান থেকে ১ লাখ ৮৭ হাজার পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। বাকি অন্যান্য মিশন থেকে ইস্যু হয়েছে। |
Be SPONSORED Now ।| Be SPONSORED By | |
---|---|
২৮ জুলাই, ২০১৬ নামাজের সময়সূচি | |
ফজর | ভোর ৩:৪৪ মিনিট |
জোহর | বেলা ১১:৫৯ মিনিট |
আসর | বিকেল ৪:৩৬ মিনিট |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:৪৭ মিনিট |
ইশা | রাত ৮:১০ মিনিট |
আগামীকালের সূর্যোদয় ভোর ৫:১১ মিনিট | আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬:৪৭ মিনিট |
No comments:
Post a Comment