তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটির ২৬ জন জ্যেষ্ঠ জেনারেলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে। এসব শীর্ষ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই ২৬ জনের মধ্যে দেশটির বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল একিন ওজতুর্কও আছেন।
তুরস্কের কিছু গণমাধ্যম একিনকে অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পক হিসেবে বর্ণনা করেছে। তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু বলছে, গতকাল সোমবার আঙ্কারার একটি আদালতে ওই ২৬ জনকে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আদালতের আদেশের পর জেনারেলদের কারাগারে পাঠানো হয়। এখন তাঁদের বিচার হবে। এ ব্যাপারে কোনো তারিখ পড়েনি।
২৬ জনের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ধারা বিলোপের চেষ্টা, সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেওয়া, প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টাসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইনজীবীদের কাছে দেওয়া বিবৃতিতে একিন দাবি করেন, ‘আমি এই অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করিনি, নেতৃত্বও দিইনি। কে এই অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেছেন, দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, তা আমি জানি না।’
তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানচেষ্টার পর ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে দেশটির সরকার।
অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত সন্দেহে শতাধিক জেনারেল ও অ্যাডমিরালকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ।
সব মিলিয়ে আটক ব্যক্তির সংখ্যা সাড়ে সাত হাজারের বেশি। বরখাস্ত করা হয়েছে প্রায় নয় হাজার কর্মকর্তাকে।
অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে সমূলে উৎপাটন করতে অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
এরদোয়ান সরকারকে উৎখাত করতে গত শুক্রবার রাতে ট্যাংক-সাঁজোয়া যান ও জঙ্গি বিমান নিয়ে ব্যারাক থেকে বেরিয়ে পড়ে দেশটির সেনাবাহিনীর একাংশ। তবে সকাল নাগাদ পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসে। এই সময়ে সংঘর্ষে ১০৪ সেনাসদস্যসহ ২৬৫ জন নিহত হন।
অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়ার পরপরই দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
No comments:
Post a Comment