জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে দেড় কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
সোমবার বাংলাদেশ সফর শেষে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে এক টুইটে কেরি এ কথা বলেন। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে রাত নয়টার দিকে দিল্লিতে নামেন।
টুইটে কেরি উল্লেখ করেন, এ সমস্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ও ক্লিন এনার্জি নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে ঢাকা সফরে থাকার সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে দুটি টুইট করেন কেরি।
কেরির সেই টুইট
একটি টুইটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।
By 2050, 15 million Bangladeshis could be displaced by #climatechange. US & Bangladesh committed to resiliency and clean energy future.
— John Kerry (@JohnKerry) August 29, 2016
একটি টুইটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি পোস্ট করে জন কেরি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির ইতিহাস রয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনন্দিত।’
এ টুইটের পরই কেরি আরেকটি টুইট করেন। এ টুইটে তিনি সফরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার কথা তুলে ধরেন। তিনি লিখেছেন, ‘নিরাপত্তা ইস্যু ও চরমপন্থী সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় সহযোগিতা নিয়ে আজ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।’
সোমবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে একটি বিশেষ বিমানে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জন কেরি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী তাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। সেখান থেকে র্যাডিসন হোটেলে গিয়ে তিনি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। হোটেল থেকে বের হয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে আসেন কেরি। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন বইতে তিনি বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে তার অনুভূতির কথা লিখেন।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে পৌঁছান কেরি। সেখানে বৈঠকে বসেন দুই নেতা। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে দুই দেশকে এক সঙ্গে লড়াই করার আহ্বান জানান মার্কিন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পরে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়। আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরে পদ্মাতেই ওয়ার্কিং লাঞ্চে অংশ নেন তিনি।
পরে বিকালে এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড আর্টস (ইএমকে সেন্টার) জন কেরি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ইএমকে সেন্টারেই বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কেরি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশানের যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে বৈঠক করেন।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সফরসঙ্গীসহ বিশেষ বিমানে চড়ে ঢাকা থেকে দিল্লির পথে রওনা হন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
No comments:
Post a Comment