Monday, August 29, 2016

আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধে সিডিএর অভিযান শুরু

নগরীর আবাসিক এলাকা এবং বহুতল আবাসিক ভবনের অনুমোদন নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধে অভিযান শুরু করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।


সোমবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে বিকেলে চারটা পর্যন্ত খুলশী থানাধীন উত্তর খুলশীর ২, ৩ ও ৪ নম্বর সড়কে অভিযান চালানো হয়।


সিডিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খিন ওয়ান নু অভিযানে নেতৃত্ব দেন।


তিনি বাংলানিউজকে জানান, আবাসিক ভবনের অনুমোদন নিয়ে রেস্টুরেন্ট, হোটেল, গেস্ট হাউস, বিপণিকেন্দ্র, বাণিজ্যিক অফিস, স্কুল-কলেজ গড়ে তোলার প্রবণতা বাড়ছে। এ অবস্থায় সিডিএ বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও অনুমোদিত বহুতল আবাসিক ভবনগুলোর নকশা এবং বাস্তব চিত্র তুলে ধরে সম্প্রতি তালিকা তৈরি করেছে। তারই ভিত্তিতে উত্তর খুলশীতে অভিযান চালানো হয়েছে।


নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, তিনজন ভবন মালিকের কাছ থেকে ৮৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০-২৫ জন ভাড়াটিয়া যারা আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তাদের কাছ থেকে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠান অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে মুচলেকা নিয়েছি।


পর্যায়ক্রমে প্রতিটি আবাসিক এলাকা ও বহুতল ভবনে এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানান সিডিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট


গত ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে ২১টি সেবাদাতা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সমন্বয় সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নগরীর খুলশী, নাসিরাবাদসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকার ভবনে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা চেয়েছিলেন। সভায় সিডিএ’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী জসিম উদ্দিনকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেন তিনি।


মেয়র বলেন, খুলশীতে রেস্ট হাউস শুরু করে এমন কিছু বাদ নেই, যা এ এলাকায় নেই। নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে স্কুল হচ্ছে। প্রচুর যানজট হচ্ছে। আবাসিকের বাসিন্দারা বেরোতে পারছে না। প্রতিনিয়ত অভিযোগ পাচ্ছি। তাই নকশা অনুমোদনের সময় আবাসিক নাকি বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমোদন নিয়েছে দেখা দরকার। তালিকা পেলে অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করা হবে। একই সঙ্গে ওয়ার্ডভিত্তিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

No comments:

Post a Comment