পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১ আগস্ট থেকে প্রথম দফায় সাতটি ওয়ার্ডে ‘ডোর-টু-ডোর’ বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এ লক্ষ্যে ঈদের ছুটির পরপরই ৭, ৮, ১৫, ২২, ২৩, ৩১ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘরে একটি করে ‘বিন’ সরবরাহ করা হবে।
রোববার (৩ জুলাই) নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিকের প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের সমন্বয় সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ১ আগস্ট সাতটি ওয়ার্ডে ডোর-টু-ডোর বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। এ কর্মসূচির আওতায় প্রতি পরিবারকে বিন সরবরাহ করা হবে। ৪০০ পরিবারের আবর্জনা সংগ্রহে ১টি ভ্যানগাড়ি ও প্রতি ভ্যানগাড়িতে ২ জন সেবক নিয়োগ দেওয়া হবে।
মেয়র বলেন, অবশিষ্ট ওয়ার্ডগুলোতে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ অভিযান পর্যায়ক্রমে চালু হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪১টি ওয়ার্ডে এ পদ্ধতিতে আবর্জনা সংগ্রহ করা হবে। এ বিষয়ে প্রচারপত্র বিলি, মাইকযোগে প্রচার কার্যক্রম চলবে।
মেয়র বলেন, বাধা-বিপত্তি, সুবিধা-অসুবিধা সব কিছু অতিক্রম করেই ক্লিন সিটির ভিশন বাস্তবায়ন করা হবে। কাঁচাবাজারসহ হাট-বাজারগুলোর আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কমিটির সাথে সমন্বয় করা হবে।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সমগ্র শহরকে সিসি ক্যামেরা নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। ওয়্যারলেস সেটের নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন করা হবে। নগরীর যেসব আবাসিক এলাকায় পূর্ব থেকে ডোর-টু-ডোর ভ্যানগাড়ি দ্বারা আবর্জনা সংগ্রহ হচ্ছে সে সব আবাসিক এলাকার ভ্যানগাড়ি ও চালকদের চসিকের আওতায় আনা হবে।
মেয়র বলেন, প্রকৌশল বিভাগের অধীনে কর্মরত সবাইকে ঈদের পর পর সড়কের প্যাচওয়ার্ক জোরদার করতে হবে। নগরীর কোথাও খানা-খন্দক থাকতে পারবে না। বৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির কারণে যখনই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তখনই প্যাচওয়ার্ক করে রাস্তায় গাড়ি চলাচলের উপযোগী করতে হবে।
সভায় কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মো. গিয়াস উদ্দিন, মোরশেদ আলম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. শফিউল আলম, সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল হক, আনোয়ার হোছাইন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মন্নান ছিদ্দিক, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছালেহ, কামরুল ইসলাম, মনিরুল হুদা, সুদীপ বাসাক, ঝুলন কুমার দাশসহ সব সহকারী প্রকৌশলী ও পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment