Friday, July 1, 2016

বিশ্ব গণমাধ্যমে শ্যামানন্দ হত্যার খবর


বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহে শ্যামানন্দ দাস নামের এক হিন্দু সেবায়েতকে হত্যার ঘটনার খবর প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা, গার্ডিয়ান, টাইমস অব ইন্ডিয়ায় গুরুত্বসহকারে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে মুসলিম উগ্রবাদিদের দায়ী করে এ সংক্রান্ত হত্যাকাণ্ডের ঢেউ চলছে বলে জানানো হয়েছে।




বিবিসি লিখেছে, বাংলাদেশে হিন্দু যাজক খুন। বাংলাদেশে মন্দিরের সেবায়েতকে তিন দুর্বৃত্ত খুন করেছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, এটা সাম্প্রতিক সময়ের ডজনখানেক বর্বরোচিত হামলার একটি।


আল-জাজিরা লিখেছে, রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মন্দিরের এক সেবায়েতকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞের সর্বশেষ ঘটনা এটি। শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঝিনাইদহ জেলায় মন্দিরের সামনে শ্যামানন্দ দাসকে (৪৫) হত্যা করা হয়।


আল-জাজিরার প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি তখন সকালের প্রার্থনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সে সময় তিনজন যুবক মোটরসাইকেলে এসে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।


রয়টার্স লিখেছে, বাংলাদেশ, মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশ। ১৬ কোটি জনসংখ্যার এই দেশটিতে কয়েক মাস ধরে উদারপন্থীদের হত্যা তান্ডবের ঢেউ চলছে। ইসলামী চরমপন্থীদের এ তান্ডব থেকে রেহাই পাচ্ছে না মুসলিম সংখ্যালঘু মতাদর্শের অনুসারী এবং অন্য ধর্মের অনুসারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, তারা শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহে শ্যামানন্দ হত্যার কারণ জানে না এবং এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।


 ‘বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরের সেবায়েত হত্যা, পুলিশের দাবি’-শিরোনাম করেছে দ্য গার্ডিয়ান। প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘটনাটি সাম্প্রতি সময়ে হিন্দু সংখ্যা লঘু হামলার অংশ এবং এতে ইসলামিক উগ্রবাদিরা জড়িত।


শ্যামানন্দ দাস নামে বাংলাদেশে এক হিন্দু সেবায়েতকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তারা এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ সম্পর্কে কিছু জানে না। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে এ রকম হত্যাকাণ্ডের একটা ঢেউ বয়ে চলছে- এ খবর প্রকাশ করেছে টাইম অব ইন্ডিয়া।


শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ সদরে শ্যামানন্দ দাস (৫০) নামে মন্দিরের এক সেবায়েতকে (গোঁসাই) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ব্যক্তি উত্তর কাষ্টসাগরা গ্রামের শ্রী শ্রী রাধারমন মঠ মন্দিরের গোঁসাই এবং নড়াইল সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের কিরন সরকারের ছেলে।



No comments:

Post a Comment