Friday, July 1, 2016

ঢাকা টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ রুটে জঙ্গি হামলার ছক


উত্তরাঞ্চলের জঙ্গি অধ্যুষিত জেলায় পুলিশের টানা অভিযানে জেএমবি সদস্যরা সেখান থেকে পালিয়ে অন্য অঞ্চলে আশ্রয় নিচ্ছে। লক্ষ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে থেকে নাশকতামূলক কর্মকা- চালানো। এমনই একটি গ্রুপ উত্তরাঞ্চল থেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ঢাকা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে। এই গ্রুপের দলনেতা হলো রাজীব গান্ধী ওরফে শান্ত ওরফে সুভাষ ওরফে আদিল (সাংগঠনিক নাম)। তার সহযোগী হৃদয় ও সোহেল। তারা এই এলাকা নিরাপদ মনে করছে। এই গ্রুপের সদস্যরা ‘ট্রিমা’ নামে একটি অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন তাদের অনুসরণ করতে না পারে তাই প্রক্রিয়া অনুসরণ। গত ২৭ জুন পুলিশের কাছে দাখিল করা স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক গোপন প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ইতোমধ্যে ওই প্রতিবেদনটি ঢাকার পুলিশ কমিশনার, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপারের পৌঁছে গেছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়, কথিত রাজীব গান্ধী গ্রুপ টাঙ্গাইলের মধুপুরে খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকায় খ্রিস্টান স্কুল, মিশনারিতে আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। তাদের আক্রমণের সম্ভাব্য টার্গেট হলো খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোক। এ ছাড়া টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার জলছত্র এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার হিন্দু চালকদের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা করছে তারা। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে নির্জন এলাকায় নিয়ে তারা চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করার ছক করেছে। ছিনতাই করা অটোরিকশা বিক্রি করে ওই অর্থ জঙ্গি তৎপরতায় ব্যবহার করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।


ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নাশকতা পরিচালনার জন্য জেএমবির একটি গ্রুপ ঢাকায় অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে বিকাশ (২৭), আকাশ (২৮), ডন (২৫) (সাংগঠনিক নাম) রমজান মাসের শুরুর দিকে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকায় আসে। তাদের আক্রমণের সম্ভাব্য টার্গেট হলো প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো স্থান, যে কোনো দূতাবাস, প্রশাসনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও ঢাকা শহরের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থান।


গোয়েন্দা প্রতিবেদনে পুলিশের তৎপরতা জোরদারের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত আরোহীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জঙ্গিদের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত ‘ট্রিমা’ অ্যাপস বন্ধ করে তাদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার জন্য বিটিআরসির মাধ্যমে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়।


ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিরা যেন ঢাকায় কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা- চালাতে না পারে এজন্য সতর্ক আছেন। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক সম্পর্কেও নজর রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।




No comments:

Post a Comment