রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জিম্মিদের মধ্যে আনুমানিক ২০ জনই বিদেশি বলে জানিয়েছেন রেস্টুরেন্টের সুপারভাইজার সুমন রেজা। তিনি জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে ৮-১০ জন যুবক অতর্কিতে আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়ে। তাদের একজনের হাতে তলোয়ার, বাকিদের কাছে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। ঢুকেই তারা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার দেয়। তখন ভেতরে ২০ জনের মতো বিদেশি নাগরিক ছিলেন।
ওই সময় সুমন নিজে ও আর্টিজানের আরেক কর্মী (ইতালির নাগরিক) দোতলার ছাদ থেকে লাফিয়ে বাইরে আসতে সক্ষম হন।
সুমন জানান, ‘আমি ছাদে ছিলাম। তারা ভেতরে ঢুকে একের পর এক যখন বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় তখন গোটা বিল্ডিং বার বার কেঁপে ওঠে। ওরা প্রায় ১০-১২টা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। যখন মনে হলো যে ওরা আরও সামনের দিকে স্টেপ নিচ্ছে, তখন ছাদ থেকে লাফ দেই।’
সুমন রেজা বলেন, ‘ভেতরে থাকা আমাদের কর্মীরা ফোন ধরছিলো না। আমাদের স্টাফদের মধ্যে দু'জন বিদেশি ছিলো, এর মধ্যে আর্জেন্টাইন কর্মীর কোনো খোঁজ নেই।’
সর্বশেষ রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে ভেতর থেকে অস্ত্রধারীরা পরপর দু'টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় এবং বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এ সময় চারদিকে ঘিরে থাকা র্যাব-পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দৌড়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে যায়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেকারির সামনে আহত অবস্থায় পুলিশের পোশাকধারী কয়েকজনকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। রাত পৌনে ১১টায় ফের গুলির শব্দ শোনা যায়। তার কিছুক্ষণ আগে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহউদ্দিনসহ আহত কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment