Wednesday, July 20, 2016

গুলশান হামলার মূল হোতা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি!

ঢাকার গুলশানে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যার পরিকল্পনা ছিলো অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক বাংলাদেশীর। বাংলাদেশের পুলিশ ঐ ব্যক্তিকে খুঁজছে। এমনই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দৈনিক ডেইলি মেইল।


ডেইলি মেইল তাদের প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশ সরকার প্রথমে ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলার সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জড়িত থাকার বিষয়ে অস্বীকার করে। পরে সেই ঘটনার সাথে তারা আইএসের সম্পৃক্ততা আছে বলে নতুন করে তদন্ত শুরু করে।


বাংলাদেশ পুলিশের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানায়, আইএস সন্দেহভাজন জড়িতদের মধ্যে একজনের নাম আবু তারেক মোহাম্মদ তাজউদ্দিন কাওসার। এই সন্দেহভাজন জঙ্গি আইএস এর কর্মী সংগ্রহকারী। তিনি এক যুগ ধরে অষ্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন।


366CBFFB00000578-3698335-image-a-39_1468968917158এদিকে এবিসি নিউজের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলছে, কাওসার অষ্ট্রেলিয়ার কোথায় আছে সেটি দেশটির ফেডারেল পুলিশ গোপন রেখেছে।


উল্লেখ্য, তাজউদ্দিন লক্ষীপুরের বাসিন্দা। তবে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি অষ্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। ১ জুলাই রাতে রাজধানী ঢাকার কূটনৈতিক পাড়া গুলশানে স্প্যানিশ হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ভারত ও জাপানের ১৮ জন নাগরিকসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। হামলায় ৫ জন জঙ্গি অংশগ্রহণ করেন।




আর্টিজানে হামলার পরপরই আইএস এ হত্যার দায় স্বীকার করলেও বাংলাদেশের পুলিশ তা অস্বিকার করে। ঢাকার গুলশানে হামলাকারীদের মধ্যে তিনজন সন্ত্রাসী বাংলাদেশের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের শিক্ষার্থী। আক্রমণকারীরা উচ্চ শিক্ষিত ও সমাজের বিত্তবান অবস্থানের অধিকারীদের সন্তান। যদিও এর আগে  বাংলাদেশে থাকা অসংখ্য মাদরাসাই উগ্র জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়ছে বলে ধারণা ছিল।


বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরামর্শক শাহাব ইনাম খান মনে করেন গুলশান হামলায় আইএস জড়িত রয়েছে। এখানে প্রমাণ হিসেবে অনেক তথ্য পাওয়া যায় যে ওই হামলায় আইএস জড়িত। তিনি আরো বলেন, সরকারের তরফ থেকে ওই হামলায় আইএস জড়িত এধরনের তথ্য নিশ্চিত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই ঘটনার নতুন করে তথ্য প্রমাণাদি পাওয়া গেছে। কারণ বিভিন্ন পরিবারের খোঁজ না পাওয়া সন্তানরা সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

No comments:

Post a Comment