প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী। শেখ হাসিনার এই বার্তা মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিকে পৌঁছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক। ইয়াঙ্গুন থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে অং সান সু চির সঙ্গে তাঁর দপ্তরে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির হাতে শেখ হাসিনার চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চিঠিকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন অং সান সু চি। তিনি উল্লেখ করেন, দুই দেশের সব চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে মোকাবিলা করা উচিত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি রাখাইন রাজ্যের সমস্যা সমাধানে তাঁর সরকারের জোরালো অঙ্গীকারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। সু চিকে লেখা শেখ হাসিনার চিঠিতে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং সবাইকে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠায় এনএলডি নেতার দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রশংসা করা হয়েছে। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্ব, সুপ্রতিবেশী এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশের আন্তরিক আকাঙ্ক্ষা সু চির কাছে তুলে ধরেন শহীদুল হক। এ ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব খোলাখুলিভাবে এবং সামগ্রিকভাবে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। মিয়ানমারের সঙ্গে অমীমাংসিত সব বিষয়ে সমাধানের জন্য বাংলাদেশ আন্তরিকতা, খোলা মন ও দৃঢ়প্রত্যয়ের সঙ্গে তৈরি আছে বলেও তিনি জানান। মিয়ানমারের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে নতুন সরকারের অঙ্গীকারের কথা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের কাছে তুলে ধরেন স্টেট কাউন্সিলর। সু চি জানান, কোনো বিষয়কে পাশ না কাটিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী।
No comments:
Post a Comment