Thursday, June 30, 2016

প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হচ্ছেন না বরিস জনসন

যুক্তরাজ্যের ইইউ ত্যাগের পক্ষে (ব্রেক্সিট) মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন। ব্রেক্সিটের বিপক্ষে থাকা প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন গণভোটে হেরে পদত্যাগের ঘোষণা দিলে বরিস জনসনই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন এমনটাই সবার ধারণা ছিল। কিন্তু আকস্মিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।


বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতেৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ আগে দুইবারের নির্বাচিত লন্ডনের সাবেক মেয়র হঠাৎ করেই লড়াইয়ে না নামার ঘোষণা দেন।


ব্রিটেনের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে তার এই ঘোষণা অতি নাটকীয় বলে মনে হয়েছে। তার এই সিদ্ধান্তে থমকে গেছে ব্রিটিশ জনগণও। তবে ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচার চালানো আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা বিচারমন্ত্রী মাইকেল গভ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা নিশ্চিত করার পরপরই জনসন সরে দাঁড়ালেন।


2016_06_30_22_33_41_hsjoefwacln3etyoe3unkrazxzilre_originalবিচারমন্ত্রী মাইকেল গভ (বামে), মাঝখানে বরিস জনসন, ডানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে


কনজারভেটিভ পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার এখন সবচেয়ে সুবিধেজনক অবস্থানে রয়েছেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে। আশা করা হচ্ছে, বিচারমন্ত্রী মাইকেল গভের সাথে মূল প্রতিযোগিতা করবেন তিনি। এরা দুজন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন প্রার্থিতা জমা দিয়েছেন।


এদিকে বিরোধী লেবার পার্টিতেও নেতৃত্ব নিয়ে চলছে বিরোধ। লেবার পার্টি ছিল ইইউ'তে থাকার পক্ষে ছিল। কিন্তু গণভোটে হেরে যাওয়ায় অনেকেই দলের নেতা জেরেমি করবিনের নেতৃত্বের সমালোচনা করে বিদ্রোহ করেছেন।

No comments:

Post a Comment