পাকিস্তানের বড় শহর ইসলামাবাদ, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডির বিভিন্ন জায়গায় সড়কের মোড়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড শোভা পাচ্ছে। প্ল্যাকার্ডে বড় করে শোভা পাচ্ছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহেল শরিফের ছবি। ছবির নিচে তাঁকে অনুরোধ করা হচ্ছে, আল্লাহর ওয়াস্তে আসুন!
ব্যস্ততম সড়কে এখন এ রকম এক প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে জেনারেল রাহেল শরিফের প্রতি দাবি জানানো হচ্ছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য! জেনারেল রাহেলের ছবির ওপরে লেখা, ‘বিজয় আসন্ন।’
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিইও নিউজ জানিয়েছে, কোন ‘ভৌতিক সংগঠন’ এ কাজটি করছে তা বোঝা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে সেনা মুখপাত্র লে. জেনারেল আসিম বাওয়া সম্প্রতি জানিয়েছেন, সেনাপ্রধানের নাম ও ছবি ব্যবহার করা এ প্ল্যাকার্ডটি চোখে পড়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ চিকিৎসার জন্য লন্ডনে ছিলেন ৪৮ দিন। আর ১৩৭ দিন পর অবসরে যাচ্ছেন সেনাপ্রধান রাহেল শরিফ। ঠিক এ সময়গুলোতে করা হয় ওই ধরনের প্রচার!
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্ল্যাকার্ড ব্যবহারকারীরা গণমাধ্যমে তেমন কিছু বলছে না। তবে ফেসবুক, টুইটারের মতো ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখি করছে এরা। ওই সূত্র ধরে আলী হাশমি নামে একজনকে শানাক্ত করা হয়।
আলী হাশমি জানান, তিনি একটি সংগঠন করেন; যা পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের তালিকাভুক্ত। তবে ওই প্রতিবেদনে সংগঠনের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
হাশমিকে প্রশ্ন করা হয়, নির্বাচন কমিশনের তালিকাভুক্তির সময় তো সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিতে হয়। হাশমি জানান, তাঁর কাছে মৌলিক এসব দলিলের চেয়ে পাকিস্তান রক্ষা করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে ছিলেন ৪০ দিনেরও বেশি সময়। তখন সেনারাই পাকিস্তানকে চালিয়েছে।
হাশমি জানান, বড় বড় শহরে ১০ হাজারেরও বেশি প্ল্যাকার্ড লাগানো হয়েছে। তবে এ সংগঠনের আর কে কে আছেন, অর্থায়ন কীভাবে হচ্ছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দেননি হাশমি।
পাকিস্তানের ইতিহাসে সেনাশাসিত প্রেসিডেন্টের সময়কালই বেশি। দেশটি স্বাধীন হওয়ার কিছু সময় পরেই ১৯৫১ সালে ক্ষমতা দখল করেন ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান। সেনাবাহিনীর প্রধান থেকে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সর্বশেষ জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সরিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন তিনি।
Pages
▼
▼
No comments:
Post a Comment